Business

কানাডায় নিরাপত্তারক্ষী পেলেন সেই সৌদি তরুণী


ঘরপালানো সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনুনের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে একজন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। স্বাভাবিক জীবন শুরু না করা পর্যন্ত তার জীবনের হুমকি আছে উল্লেখ করে তাকে নিরাপত্তা দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কুনুনকে কানাডায় শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করা অভিবাসী প্রতিষ্ঠান কস্টি ওই নিরাপত্তারক্ষী ভাড়া করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
কস্টির নির্বাহী পরিচালক মারিও কালা সাংবাদিকদের বলেন, রাহাফকে অনলাইনে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাই নিরাপত্তাঝুঁকির আশঙ্কায় রাহাফের জন্য রক্ষী নেওয়া হয়েছে। তিনি স্বাভাবিক জীবন শুরু করেছেন। এখন যে তিনি কখনো একা নন। এটা বলা অত্যান্ত কঠিন যে রাহাফ কতটা হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে। তবে আমরা সেগুলোকে গুরুত্বের সাথে নিচ্ছি।
জানুয়ারি ১৮ বছর বয়সী সৌদি তরুণী রাহাফের বাড়িপালানোর ঘটনা আলোড়ন তোলে আন্তর্জাতিক মহলে। রাহাফের পরিবারের অনেক সদস্য কুয়েতে থাকেন। রাহাফ বাড়ি থেকে পালিয়ে কুয়েত থেকে থাইল্যান্ড হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছিলেন। থাইল্যান্ডের ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর থেকে তাকে কুয়েতে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেয় থাই কর্তৃপক্ষ। তবে যে হোটেলে তাকে রাখা হয়, সেখানের কক্ষে নিজেকে তালাবদ্ধ রাখেন রাহাফ। একের পর এক টুইটে জানান, তিনি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছেন। পরিবারের কাছে ফেরত পাঠালে তাকে মেরে ফেলা হবে। পরে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার অনুরোধে কানাডা রাহাফকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেয়। গত শনিবার তিনি কানাডায় পৌঁছান।
মঙ্গলবার টরেন্টোতে এক লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন রাহাফ। সেখানে তিনি বলেন, আমি জানি কানাডা এবং বিশ্বের অনেকে আমার জন্য শুভ কামনা করেছেন। তারা জানতে চাইছেন আমি এখন কী করছি। আমি এখানে অন্যান্য কানাডিয়ান নারীদের মতো স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চাই। এসময় কানাডা ও থাইল্যান্ড সরকার এবং জাতিসংঘের অভিবাসী সংস্থা ইউএসএইসিআরকে ধন্যবাদ জানান।
নিজেকে সৌভাগ্যবান উল্লেখ করে বলেন, যারা ঘর পালাতে গিয়ে অনেক সৌদি নারী নিখোঁজ হয়ে গেছেন। আমি জানি তারা কতটা দুর্ভাগা। তারা বাস্তবতার পরিবর্তন আনতে চাইলেও সেটা পারেন না।

Post a Comment

0 Comments

class="fb-customerchat" "attribution"=setup_tool page_id="226269794967384">